অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মহামারি করোনার পর ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বেড়েছে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা। বিশ্বে প্রতি ৯ জনের মধ্যে একজন খাদ্যাভাবে ভুগছে। ২০১৯ সালের পর মাত্র তিন বছরে নতুন করে ক্ষুধার্ত হয়েছে ১২ কোটি মানুষ। বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে সাড়ে ৭৩ কোটি ছাড়িয়েছে।
সম্প্রতি জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এফএও’র প্রতিবেদনে উঠে আসে এসব তথ্য।
চার বছরের হাড্ডিসার শিশুটির জন্য একমুঠো খাবারের অপেক্ষায় সোমালিয়ার শরণার্থী ক্যাম্পের জোহুরা আলী। শেষ পর্যন্ত শিশুটিকে বাঁচাতে পারেননি এই মা।
শুধু সোমালিয়ার ৩০ হাজার মানুষের এই শরণার্থী ক্যাম্পই শুধু নয়, আফ্রিকার বেশিরভাগ দেশেই চরম রূপ নিয়েছে খাদ্য সংকট।
সম্প্রতি জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা এফএও’র প্রতিবেদনে উঠে আসে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের ভয়াবহ চিত্র। এতে বলা হয়, মহামারি করোনার পর ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে পুরো বিশ্বেই দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। বেড়েছে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় খাবারের দাম।
এফএও’র তথ্য বলছে, ২০২২ সাল নাগাদ বিশ্বের ৯০ কোটি বা ১১ শতাংশ মানুষ মারাত্মক খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হয়। আরও অন্ততঃ ২শ’ কোটি মানুষ পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ পাচ্ছে না।
সবচে বেশি খারাপ অবস্থায় শিশুরা। ৫ বছরের কম বয়সী বিশ্বের প্রায় সাড়ে ৪ কোটি শিশু অপুষ্টির শিকার। খাবারের অভাবে একই বয়সী আরও প্রায় ১৫ কোটি শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
আফ্রিকা ছাড়াও ক্যারিবিয়ান ও পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোতে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে ।
এফএও বলছে, এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে নতুন করে পুষ্টিহীনতায় ভুগবে প্রায় ১২ কোটি মানুষ। সব মিলিয়ে অপুষ্টির শিকার মানুষের সংখ্যা ৬০ কোটি ছাড়াবে।
Leave a Reply